কক্সবাজারের উখিয়ায় বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ১০ ম শ্রেণীর এক শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে।পরে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী এঘটনা ধর্ষণকারী পরিবারের কাছে জানাতে গেলে ওই শিক্ষার্থীকে মারধর করা হয়েছে।বর্তমানে সে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী টেকনাফের বাহারছড়া উত্তর শিলখালী আবুল কাশেমের মেয়ে ছদ্মনাম রুবাইদা আক্তার (১৬)। সেই বাহারছড়া উত্তর শিলখালী তাফহীমুল কোরান দাখিল মাদ্রাসার ১০ম শ্রেণীর শিক্ষার্থী।
ধর্ষণকারী যুবক উখিয়ার জালিয়াপালং বটতলী গ্রামের জাফর আলমের ছেলে মো. রাসেল ( ২৮)।সে মালয়েশিয়া প্রবাসী। আজ মঙ্গলবার দুপুরের দিকে বিষয়টি জানিয়েছেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী (ছদ্মনাম)রুবাইদা আক্তার।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী বলেন, উখিয়ার জালিয়াপালং ইউনিয়নের মনখালী বটতলী এলাকার মালয়েশিয়া প্রবাসী যুবক মো. রাসেলের সঙ্গে আমার বিয়ের বিষয়ে সিদ্ধান্ত করা হয়।প্রায় মাসখানেক ধরে বিয়ে করার সুবাদে মো. রাসেলের সঙ্গে আমার কথাবার্তা হতো।
এক পযার্য়ে সেই গত রবিবার(১ ডিসেম্বর) সকালে ঘুরতে যাওয়ার কথা বলে কক্সবাজার নিয়ে যান।পরে সমুদ্র সৈকতে কিছুক্ষণ ঘুরাঘুরি শেষে আমি বাড়ি চলে আসার কথা বললে মো. রাসেল আর আসতে দেয়না।
পরে সেই আমাকে বলে আমরা তো কিছুদিন পরে বিয়ে করবো তাই তুমার সাথে শারীরিক সম্পর্ক হলে কোন সম্যসা হবেনা।এসব কথা বলে জোরপূর্বক কক্সবাজারের একটি আবাসিক হোটেলে রেখে আমাকে ধর্ষণ করে।পরে সন্ধ্যার দিকে সিএনজি যোগে তার বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে রাত ৯ টার দিকে আমাকে তার বাড়ির সামনে রেখে জরুরি কাজের কথা বলে সেই পালিয়ে যায়।
ওই শিক্ষার্থী আরও বলেন, এ ঘটনাটি আমি মো. রাসেলের পরিবারকে জানালে তখন তার বড় ভাই মো. আবুল কামাল সহ আরো ৪/৫ জন মিলে আমার ওপর হামলা চালায়। এ ঘটনার পরে ঘটনাস্থল থেকে স্থানীয়রা আমাকে উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করায়। ৩দিন ধরে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে এখনো চিকিৎসাধীন আছি।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত মো. রাসেলের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করার হলে সে এ ঘটনায় কথা বলতে রাজি হয়নি,পরে তার বড় ভাই আবুল কালামের কাছ থেকে জানতে সে বলে ধর্ষণ ও মারধরের অভিযোগের বিষয়ে অস্বীকার করে ষড়যন্ত্র বলে তিনি দাবি করেন।
এ ব্যাপারে উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আরিফ হোসেন বলেন, এ রকম ঘটনার বিষয়টি আমার কাছে কোন অভিযোগ আসেনি। অভিযোগ আসলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে ওসি জানায়।
পাঠকের মতামত